অনেকের ধারণা,বন্ধ্যাত্ব শুধুমাত্র নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু বন্ধ্যাত্ব পুরুষেরও হতে পারে। পুরুষের শুক্রাণুর গুনগতমান এবং শুক্রাণু উৎপাদনের সমস্যা দম্পতিদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের একটি ক্রমবর্ধমান কারণ। বন্ধ্যাত্বের একাধিক কারণ থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং,যখন কোন দম্পতি গর্ভধারণ করতে অক্ষম হয়,তখন স্বামী এবং স্ত্রী উভয় পার্টনারেরই উর্বরতা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বন্ধ্যাত্ব নির্ণয় এবং কারণ শনাক্ত করতে নানানরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে। প্রচলিত সবচেয়ে সাধারণ পরীক্ষা হল:
বন্ধ্যাত্ব নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তার প্রথম যে পদক্ষেপটি নেবেন তা হল, পুরুষের পূবর্বর্তী চিকিৎসার পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে জানবেন এবং উর্বরতাকে বাঁধা দিতে পারে এমন কোনো জিনগতভাবে বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সমস্যার অস্তিত্ব সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝতে চেষ্টা করবেন। চিকিৎসক আঘাত বা সংক্রমণের লক্ষণগুলো দেখতে রোগীর যৌনাঙ্গও পরীক্ষা করবেন।
বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুণমান উভয়ই উর্বরতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বীর্যে শুক্রাণুর ঘনত্ব, শুক্রাণুর আকৃতি, শুক্রাণুর গড় গতিশীলতা এবং সংক্রমণের লক্ষণ যদি থাকে তা নির্দেশ করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের সঠিক চিত্র পেতে একাধিক বীর্য বিশ্লেষণের প্রয়োজন হতে পারে।
এটা এক ধরণের আল্ট্রসাউন্ড যেটির মাধ্যমে পুরুষের অন্ডকোষের যেকোনো অস্বাভাবিকতা নর্ধারণ করা যায়।
টেস্টোস্টেরন এবং উর্বরতাকে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য রক্ত পরীক্ষার সুপারিশ করা যেতে পারে। যেমনঃ FSH, TSH, Prolactin.
এই পরীক্ষাটি প্রস্রাবে শুক্রাণুর উপস্থিতি পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। যদি উপস্থিত থাকে তবে এটি বিপরীতমুখী বীর্যপাতের লক্ষণ হতে পারে।
যদি শুক্রাণুর সংখ্যা খুব কম হয়, চিকিৎসক একটি জেনেটিক কারণ সন্দেহ করতে পারেন। তাই Y ক্রোমোজোমে জেনেটিক অস্বাভাবিকতার লক্ষণের পাশাপাশি অন্য কোনো জন্মগত ব্যাধির অস্তিত্ব পরীক্ষা করার জন্য জেনেটিক রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
পুরুষের অনুর্বরতায় FSH পরীক্ষা করা হয় মূলত অণ্ডকোষের ফাংশন ঠিক আছে কিনা সেটা বোঝার জন্য।
শুক্রানুর ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করার ক্ষমতা কতটুকু আছে সেটা বোঝার জন্য এটি একটি ভালো পরীক্ষা। যাদের শুক্রাণুর সমস্যা নেই, টিউবও খোলা আছে, ডিমও আছে কিন্তু অনেক সময় পুরুষের গতিশীল শুক্রাণু বা সাঁতরানোর ক্ষমতা সম্পন্ন শুক্রাণু থাকে না। এই টেস্টের মাধ্যমে ওই সব শুক্রাণুর ফার্টিলাইজেশন ক্ষমতা আছে কিনা তা বের করি।
কপিরাইট ২০২০-২০২৩@ বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল