এটি এমন একটি বিশেষ ফ্রিজিং পদ্ধতি যেটির মাধ্যমে শুক্রাণু বা ডিম্বাণু অথবা ভ্রূণকে দীর্ঘদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বায়োলজিক্যালি সন্তান ধারণে সহযোগিতা করা সম্ভব। স্বাভাবিক পদ্ধতির চেয়ে ফ্রিজিং প্রক্রিয়ায় সন্তান ধারণে সফলতার হার অনেক বেশি।
তিন ধরণের সংরক্ষণ পদ্ধতি রয়েছেঃ
০১. শুক্রাণু সংরক্ষণ
০২. ডিম্বাণু সংরক্ষণ
০৩. ভ্রূণ সংরক্ষণ
এই পদ্ধতিতে মূলত শুক্রাণু সংগ্রহ করে স্টোরেজ ট্যাঙ্কে লিকুইড নাইট্রোজেনে সংরক্ষণ করা হয়।
যাদের ক্ষেত্রে করা হয়ঃ
০১ যাদের ক্যানসারের জন্য রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি শুরু হবে।
০২ যাদের স্বামি বিদেশ থাকে
০৩ যারা সহবাসে অক্ষম
ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে হলে প্রথমে নারীকে স্বাভাবিক ডিম্বস্ফোটনের জন্য কিছু মেডিকেশন নিতে হয়। পরিপক্ক ডিম্বাণু তৈরি হলে সেটি ফলিকল থেকে রিমুভ করে এম্ব্রায়োলজি ল্যাবে ফ্রিজিং করা হয়।
যাদের ক্ষেত্রে করা হয়ঃ
০১ যাদের ক্যানসারের থেরাপি শুরু হবে
০২ যারা এখন সন্তান নিতে চান না কিন্তু পরবর্তিতে গর্ভধারণ করতে চান
০৩ যাদের পরিবারে Early Menopause এর হিস্ট্রি আছে
এই পদ্ধতিতে ফ্রিজ করে ট্রান্সফার করলে সফলতার হার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এই পদ্ধতিতে স্বামী এবং স্ত্রীর শুক্রাণু ও ডিম্বাণু সংগ্রহ করে ল্যাবে নিষিক্ত করা হয়। ভ্রূণ তৈরি হওয়ার পর কোষ বিভাজন সহজ করার জন্য কিছু দিন কালচার করে তার পর ফ্রিজিং করা হয় এবং পরবর্তিতে প্রয়োজন অনুসারে স্ত্রীর জরায়ুতে স্থানান্তর করা হয়। এটা মূলত ভিট্রিফিকেশন পদ্ধতিতে করা হয়।
কপিরাইট ২০২০-২০২৩@ বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল