এন্ডোমেট্রিয়োসিস হলো এক ধরনের স্ত্রীরোগ। জরায়ুর ভেতরের আস্তরণকে বলা হয় ‘এন্ডোমেট্রিয়াম’। এন্ডোমেট্রিয়ামে অবস্থিত বিশেষ ধরনের কোষগুচ্ছ কোনো কোনো সময় জরায়ু গহ্বরের বাইরেও অবস্থান নেয়, ফলে নারীদেহে বিভিন্ন রকমের জটিলতা তৈরি হয়। এই অবস্থাকে এন্ডোমেট্রিয়োসিস বলে৷ একজন নারী তার জীবনকালের যেকোনো সময়ে এই রোগে ভুগতে পারেন৷
এন্ডোমেট্রিয়োসিসের লক্ষণসমূহ:
১) ব্যথাযুক্ত পিরিয়ড হওয়া! এটাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘ডিসম্যানুরিয়া’
২) যৌন সহবাসের সময় কিংবা পরে ব্যথা অনুভব করা
৩) প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অনুভব করা৷ সাধারণত পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এই ব্যথা অনুভূত হয়।
৪) অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া। কখনো কখনো পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্ত যেতে পারে৷ অথবা দুটি পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়েও ব্যাপারটা ঘটতে পারে৷
৫) গর্ভধারণ করতে না পারা! অনেক সময় গর্ভধারণে জটিলতা সংক্রান্ত চিকিৎসা করতে গেলে এন্ডোমেট্রিয়োসিস ধরা পড়ে৷
এন্ডোমেট্রিয়োসিস হলে পরবর্তীতে যে সমস্যাগুলো হতে পারে:
১) গর্ভধারণে জটিলতা।
২) কখনই গর্ভধারণ করতে না পারা।
৩) ক্যান্সার।
১) কম গুরুতর রোগের জন্য ওভুলেশন ইনডাকশন এবং আইইউআই (অন্তঃসত্ত্বা গর্ভধারণ)
২) আরও গুরুতর রোগের জন্য ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি এবং আই ভি এফ (IVF) /আই সি এস আই (ICSI)
কপিরাইট ২০২০-২০২৩@ বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল